অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে কোনো অনিয়ম-ত্রুটি হলে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে পারবেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা অধিশাখার উপসচিব আতিয়ুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসির নির্দেশনায় জানানো হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর অনুচ্ছেদ ২৪ অনুসারে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণের জন্য সিদ্ধান্ত জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
কোন পরিস্থিতিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ ঘোষণা হবে: : প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত বা বাধাগ্রস্ত হয় এবং তা ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পুনরায় শুরু করা সম্ভব না হয়, তা হলে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২৫ এর বিধান (পরিশিষ্ট-ক) অনুসারে অনতিবিলম্বে ভোটগ্রহণ বন্ধ করবেন। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করবেন।
ভোটকেন্দ্রে ব্যবহৃত কোনো স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রিসাইডিং কর্মকর্তার হেফাজত থেকে বেআইনিভাবে অপসারণ করা হলে বা দুর্ঘটনাক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা ইচ্ছা করে নষ্ট করলে বা হারিয়ে গেলে বা এরূপ ক্ষতিগ্রস্ত বা বিকৃত হলে ওই কেন্দ্রের ফলাফল নির্ধারণ করা যাবে না। সেক্ষেত্রেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা অনতিবিলম্বে ওই ঘটনা সম্পর্কে ইসির কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ করবেন। এরপর ইসির অনুমোদন নিয়ে নতুনভাবে ভোটগ্রহণের জন্য তারিখ নির্ধারণ করবেন তিনি।
বন্ধ ঘোষণা হলে পুনরায় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হবে : যে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ হবে সেই কেন্দ্রের ফলাফল ছাড়া ওই নির্বাচনী এলাকার বাকি কেন্দ্রের ফলাফল দ্বারা নির্ধারিত না হয়, তা হলে নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির নির্দেশক্রমে ওই কেন্দ্রে/কেন্দ্রগুলোর ভোটগ্রহণের জন্য একটি দিন ও সময় ধার্য করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।
Leave a Reply